কলেজের পরিচিতি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক "আশুগঞ্জ গোল চত্বর" থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে আশুগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন সুপরিচিত ফিরোজ মিয়া কলেজটি একটি শান্ত ও সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত। কলেজটির অবস্থান আশুগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। কলেজের মোট জমির পরিমাণ ৪.২৪৫ একর। আজ ফিরোজ মিয়া কলেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্যতম বিখ্যাত কলেজে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ব্যক্তিত্ব আলহাজ মো. ফিরোজ মিয়া ১৯৯২ সালে দেশের শিল্প-বিখ্যাত, নদীবন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল আশুগঞ্জে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কলেজ প্রতিষ্ঠার আগে আলহাজ মো. ফিরোজ মিয়ার স্বপ্ন ছিল আশুগঞ্জের মতো শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষের কাছে উচ্চশিক্ষা পৌঁছে দেওয়া। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। ফিরোজ মিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মোঃ ফিরোজ মিয়ার প্রতিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী মহান ব্যক্তিরা হলেন শিক্ষা সচিব মরহুম মোঃ শফিউল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ খবির উদ্দিন আহমেদ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। Read More...

প্রতিষ্ঠাতা
শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া ১৯৪৬ সনে আশুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আড়াইসিধা গ্রামের বন্দেআলী বেপারী বাড়ির এক সম্ভ্রন্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলহাজ্ব মোঃ সোনা মিয়া, মাতা আলহাজ্ব কদরননেসা। ৫ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতার দ্বিতীয় সন্তান। আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া ১৯৬৭ সনে তালশহর এ.এ.আই হাইস্কুল হতে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া'র ঐকান্তিক চেষ্টা এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ১৯৯২ সনে আশুগঞ্জের উপকন্ঠে প্রতিষ্ঠিত হয় ফিরোজ মিয়া কলেজ। পরবর্তীতে তাঁর প্রচেষ্টাতে-ই কলেজটিতে এইচএসসি(ব্যবসা ব্যবস্থাপনা), ডিগ্রি (পাস ও অনার্স কোর্স ) চালু হয়। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট কলেজটি সরকারিকরণ হয়। শিক্ষা ও জনকল্যাণমূলক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া ছিল তাঁর চিরায়ত অভ্যাস। তিনি ১৯৭৮ সালে নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন আড়াইসিধা বায়তুল মামুর মসজিদ, ১৯৭৯ সালে এতিম-অনাথ শিশুদের জন্য আড়াইসিধা মান্নানিয়া হাফিজিয়া শিশু সদন ও আশুগঞ্জ কিন্ডার গার্টেন, ২০২০ সালে নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসা।

(৪১০১, ১৮তম বিসিএস)
অধ্যক্ষ
"শিক্ষা হচ্ছে সেই শক্তি, যা দিয়ে আপনি বিশ্বকে বদলে দিতে পারেন।"- নেলসন ম্যান্ডেলা
আমি পরম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা সহকারে ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমার বিশ্বাস, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারী একে একসঙ্গে একটি প্রাণবন্ত, প্রগতিশীল ও মানবিক শিক্ষাঙ্গনে রূপ দিতে পারবে। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে গণচেতনার বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়-এটি আমাদের ভবিষ্যৎ গঠনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলেছে। এই সময় আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থার উপর আরও বড় দায়িত্ব এসেছে- যেখানে জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি মানুষ গড়ার কাজ আরও বেশি গুরুত্ব পাবে। শিক্ষার্থীদের আমরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জগতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না; আমরা চাই তারা ভাবুক হোক, যুক্তিবাদী হোক, মানবিক হোক—দেশ ও সমাজ নিয়ে ভাবুক, দায়িত্ব নিতে শিখুক।