ইতিহাস
ইতিহাস বিষয়টির চাকরির দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব অনেক। ইতিহাস কেবল অতীত অধ্যয়ন নয়, বরং সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রের বিকাশকে বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য নানাবিধ কর্মক্ষেত্র উন্মুক্ত রয়েছে। নিচে চাকরির দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাস বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরা হলোঃ
- স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস শিক্ষক বা প্রভাষক হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
- গবেষক হিসেবে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা একাডেমিক সংগঠনে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্কাইভ, লাইব্রেরি বা ঐতিহাসিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক, নথিপত্র সংরক্ষণকারী বা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করা যায়।
- ইতিহাসভিত্তিক প্রকল্প বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে কাজ করার সুযোগও আছে।
- বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসন, কাস্টমস, পররাষ্ট্র ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।
- বিভিন্ন সরকারি অফিসে গবেষণা কর্মকর্তা বা তথ্য কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগ পাওয়া যায়।
- টেলিভিশন, পত্রিকা ও প্রকাশনা সংস্থায় ঐতিহাসিক লেখা, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ বা সাংবাদিকতার মাধ্যমে কাজের সুযোগ।
- জাদুঘর বা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে কিউরেটর বা নির্দেশক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়।
UNESCO, UNICEF, বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওতে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বা শিক্ষা বিষয়ক প্রকল্পে কাজের সুযোগ রয়েছে।